পঞ্চম সপ্তাহেও চুটিয়ে ব্যবসা ‘বেলাশুরু’র, বক্স অফিসে রেকর্ড আয়
প্রকাশিত : ১৫:২২, ২৩ জুন ২০২২
বেলাশেষের পর বেলাশুরুর বিজয়রথ এগিয়েই চলেছে। ছবি মুক্তির প্রথম দিনই বক্স অফিসে রেকর্ড ব্যবসা করেছিল। করোনা আবহে যেখানে গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি উঠে পড়ে লেগেছিল দর্শকদের সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনতে। ঠিক সেই সময়ই বাজিমাত করলেন পরিচালক জুটি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
ছবি মুক্তির ১৪ দিনেই ৪ লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছিল বেলাশুরু। আর নতুন খবর হল, বক্স অফিসের হিসেব বলছে, এখনও পর্যন্ত ‘বেলাশুরু’ ২০২২ সালের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছে। শুধু তাই নয়, দর্শকের সংখ্যাতেও সব ছবিকে পিছনে ফেলেছে ‘বেলাশুরু’।
এক সাক্ষাৎকারে শিবপ্রসাদ জানিয়েছিলেন, ‘ছবিটা এতটা সফল হবে ভাবতে পারিনি। আসলে, কোভিডের পর তো ভেবেছিলাম, ছবিটা কেউ দেখবেই না। তার উপর কোভিড পিরিয়ডে আমরা বার বার শুনেছি, দর্শক আর সিনেমা হলে যাবে না, এখন ওটিটিতেই সবাই সিনেমা দেখবে। দর্শকের সিনেমা দেখার অভ্যাস নাকি বদলে গিয়েছে, এগুলো আমাদের বহুবার শুনতে হয়েছে। শুনতে হয়েছিল, যারা ফ্যামিলি মেম্বার তারা আর বাড়ি থেকে বের হন না, বিশেষ করে পরিবারের বয়স্ক লোকেরা বাড়ি থেকে না বেরিয়ে টেলিভিশনই দেখেন। এই যে একটা মিথ তৈরি হয়েছিল, তা ভেঙে চুরমার করে দিল বেলাশুরু। আট থেকে আশির দর্শকরা, যারা বাংলা সিনেমার আসল দর্শক, তারা ফের সিনেমা হলে ফিরে এল। অবশ্যই এ ব্যাপারে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত জুটির ম্যাজিক কাজ করেছে। তবে আমার মনে হয়, আড়াই বছর বাদে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছবি সিনেমাহলে মুক্তি পাচ্ছে এই অপেক্ষাটাও কাজ করেছে। আমাদের বেলাশুরুকে এতটা ভালবাসা দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি দর্শককে ধন্যবাদ জানাই।’
‘বেলাশেষে’ এখনও সকলের মন ছুঁয়ে রয়েছে৷ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের বড়পর্দার সম্পর্ক, সংসার, প্রেম, বন্ধুতা, ভাঙনকে ভালবেসেছিলেন দর্শকরা। সৌমিত্র এবং স্বাতীলেখার দাম্পত্য কাহিনি ও সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে তৈরি এই সিনেমা বাণিজ্যিক সাফল্য পেয়েছিল ভালই৷ সেই ধারাকেই বজায় রেখেছে ‘বেলাশুরু’। এই সিনেমায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ছাড়াও রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী দত্ত, অপরাজিতা আঢ্য, শংকর চক্রবর্তী, মনামী ঘোষ, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতারা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এসবি/